Korola Juice- করলা জুস (বহু মূত্রান্তক রস) এর কার্যকারিতা:
(এন্টিক্সিডেন্ট ও দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর) করল্লাতে বিদ্যমান এক প্রকার পি ইনসুলিনের মত জৈব রাসায়নিক উপাদান যা রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও এলার্জি দূর করে।
করলা জুস একটি প্রাকৃতিক ওষুধ যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। করলা জুসের কার্যকারিতা নিম্নরূপ:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর: করলা জুসে বিদ্যমান প্রাকৃতিক উপাদান "পি ইনসুলিনের" মতো জৈব রাসায়নিক উপাদান রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী, কারণ এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়।
এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: করলা জুস এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীর থেকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করে। এটি কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।
এলার্জি দূর করতে সহায়ক: করলা জুস এলার্জি ও বিভিন্ন প্রদাহজনিত রোগ থেকে মুক্তি দিতে কার্যকর। এর প্রদাহবিরোধী গুণাবলী শরীরের বিভিন্ন এলার্জি ও চর্মরোগ কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
রক্ত পরিষ্কারক: করলা জুস রক্তকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়: করলা জুস হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। এটি পেটের সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান দেয় এবং হজমের সমস্যা কমায়।
করলা জুস একটি প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর এবং এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এর নিয়মিত ব্যবহার শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
সেবন বিধি : ২-৩ চামিচ দিনে ২-৩ বার আহারের পর অথবা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য, আলো থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।